বাঁশিতে দমের সমস্যাঃ কারন এবং সম্ভাব্য প্রতিকার
যে সকল কারনে বাঁশি বাজাতে দম এর সমস্যা হয় এবং এর সম্ভাব্য প্রতিকারসমুহ
১। পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম না হলে
পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে তারপর আবার সাধনায় বসুন।
২। পর্যাপ্ত পরিমান পরিমান পুষ্টিকর খাবার না খেলে ।
পর্যাপ্ত পরিমান পানি, ভিটামিন যুক্ত খাবার এবং দুধ, ডিম সহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করুন।
৩। মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ এবং বিষণ্ণ থাকলে
এরকম অবস্থায় বাঁশি না বাজাতে পারলে সঙ্গীত স্রবন করুন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আগে খেয়াল করুন এবং প্রয়জনিও ব্যবস্থা নিন।
৪। মুখ গহ্বর অপরিষ্কার থাকলে ।
মুখগহ্বর পরিষ্কার রাখা বাঁশিতে পরিষ্কার আওয়াজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৫। ভারি খাবার খাবার পর বাজালে।
ভারী খাবার খেলে খাদ্য পরিপাকের জন্য শরীর কে সময় দিন এবং অন্তত ৩০ মিনিট সাধনা কিংবা বাদন হতে দূরে থাকুন।
৬। কোন ভারি কাজ বা অধিক পরিস্রমের পর বাজালে।
আগে প্রয়োজনীয় বিস্রাম নিন এবং স্বল্প খাদ্য গ্রহন করুন তারপর আবার সাধনায়/ বাজনায় মনোনিয়োগ করুন।
৭। ধুম্রপান কিংবা বায়ুদূষণ জনিত কারনে।
যে কোন ধরনের ধুম্রপান হতে দূরে থাকুন। ধুম্রপান শ্বাসনালী এবং ফুসফুস কে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং দম এর সমস্যা সৃষ্টি করে। বায়ুদূষণ পরিহার করতে প্রয়োজনে Mask ব্যবহার করুন। প্রতিদিন সবুজ প্রকৃতি এবং বৃক্ষ বহুল এলাকায় অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন।
৮। গলাব্যথা, কাশি, কফ ইত্যাদি শ্বাসনালী সংক্রান্ত রোগের কারনে।
আগে চিকিৎসা গ্রহন করুন। সুস্থ হবা রপর আবার সাধনায় বশুন। কফ কাশি যেন না হয় সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৯। বাঁশিতে ব্যবহৃত বাঁশ বেশি শুষ্ক কিংবা বাঁশিতে কোন ফাটল দেখা দিলে।
বাঁশি মেরামতযোগ্য অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করুন কিংবা বাঁশি পরিবর্তন করুন। উপমহাদেশীয় আবহাওয়ায় শুষ্ক বাঁশে তেল প্রয়োগ কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া প্রয়োগ করা উচিত নয়। কোন বংশী বিশারদের সাহায্য নিন।
১০। বাঁশি অপরিষ্কার রাখলে।
বাঁশিকে সবসময় ব্যাগ এর ভিতর রাখুন। এবং শুস্ক পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ব্যবহারের পর মুছে রাখুন।